আজ ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোবরার (২৬ মে) রাত ১০টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। শুধুমাত্র সোমবার থেকে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে মধ্যরাত থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হতে শুরু করে।

ফলে এসব এলাকার হাজারো মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

এদিকে সোমবার (২৭ মে) সকালে টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন। রাস্তায় গণপরিবহনের সং্খ্যাও কম থাকায় সকালে ভোগান্তিতে পড়েন চাকরিজীবীরা। বাধ্য হয়েই কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ায় রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশায় করে গন্তব্যে রওনা দেন তারা।

নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুড়তলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাঁকলিয়া, চান্দগাঁও, হালিশহরসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে ঢুকে গেছে পানি। পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উন্মুক্ত নালা ও ফুটপাতের ভাঙা স্ল্যাব পথচারীদের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে।

নগরের উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার আকমল আলী রোডের জেলেপাড়া জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার তিন শতাধিক পরিবার। সোমবার জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।

রিমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে নগরে লোডশেডিং বেড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝোড়ো বাতাসে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর